নফ্স বা প্রবৃত্তি কয়েক ভাগে বিভক্ত।
১) নফ্সে আম্মারা: পাপের প্রতি আকৃষ্ট আত্মা।
২) নফ্সে লাউয়ামাহ: অনুশোচনাকারী আত্মা।
৩) নফ্সে মুতমায়িন্না: পুণ্যবান প্রশান্ত আত্মা।

সূরা জুমার-এর ৪২ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন,”আল্লাহ মানুষের প্রাণ হরণ করেন তার মৃত্যুর সময়ে, আর যে মৃত্যুবরণ করে না, তার নিদ্রা কালে। অতঃপর যার মৃত্যু অবধারিত করেন, তার প্রাণ ছাড়েন না এবং অন্যান্যদের ছেড়ে দেন এক নিদ্দিষ্ট সময়ের জন্য। নিশ্চয়ই এতে চিন্তাশীল লোকদের জন্য নিদর্শনাবলী রয়েছে। “
অর্থাৎ ঘুমও এক ধরণের মৃত্যু। যখন পার্থিব সব কর্মকান্ড স্তব্ধ হয়ে যায়, থাকে মাত্র অন্তর্গত ক্রিয়াকলাপ।

হযরত আলী (রাঃ) বলেন ,”নিদ্রার সময় মানুষের প্রাণ তার দেহ থেকে বের হয়ে যায়, কিন্তু প্রাণের একটি রেশ দেহে বাকি থাকে। ফলে মানুষ জীবিত থাকে। এই রেশের মাধ্যমেই সে স্বপ্ন দেখে। এ স্বপ্ন ‘আলমে মিসালের’ দিকে প্রাণের নিবিষ্ট অবস্থায় দেখা হলে তা ‘সত্য স্বপ্ন’ হয় এবং সে দিক থেকে দেহের দিকে ফিরে আসার সময় দেখলে তাতে শয়তানের কারসাজি শামিল হয়ে যায়। ফলে সেটা সত্য স্বপ্ন থাকে না। “

ইসলামে রুহের ৭ অবস্থান:

১) লৌহে মাহফুজে

২) মাতৃ গর্ভে

৩) সৃষ্টি জগতে

৪) আলমে বরজাখে

৫) পুনরুত্থান দিবসে

৬) অবাধ্য রূহ জাহান্নামে

৭) অনুগত রূহ জান্নাতে। ( চলবে )

Categories: Uncategorized

0 Comments

Leave a Reply

Avatar placeholder

Your email address will not be published. Required fields are marked *