যে সংকট, যে ক্রান্তিকালের ভিতর দিয়ে আমাদেরকে যেতে হচ্ছে তার বীজ সুপ্ত অন্তর্জগতে।
সমস্ত অকল্যান, অমঙ্গলের মুলে আছে ‘নফ্স’
সমাজ জীবনের মৌলিক উপাদান ‘ব্যাক্তি’ ও ‘পারিবারিক জীবন’ থেকে এর যাত্রা শুরু।
মূল্যবোধের সেই শিক্ষাগুলো আজ অবলুপ্ত। ধনতন্ত্রের লাগামহীন প্রচারে পর্যদুস্থ মানুষ অন্তরের ‘নিভৃত বাণী’ শুনতে ভুলে বসে আছে।

আমরা স্রষ্ঠার বরাদ্দকৃত জীবন-জীবিকার উপর আস্থা হারায়ে ফেলেছি। আমাদের নিজ নিজ প্রয়োজন অনুযায়ী তিনি দিয়ে থাকেন। এর উপর প্রশ্ন তোলার অর্থ হচ্ছে স্রষ্টাকে চ্যালেঞ্জ করা। মৃত্যু হয় ঈমানের, মৃত্যু হয় তাওহীদের। মৃত্যু হয় তাওয়াক্কুলের। মৃত্যু হয় এখলাসের।

নফ্স বিরোধিতা করবে। নফ্স তর্ক করবে এই বলে যে “আমার আরো নেই কেন ?” আর সেই ‘আরো’ পাবার জন্য সুন্দর জীবনটাকে বিপর্যদুস্থ করে ফেলি আমরা। ‘বে-হালাল’ পথে পা বাড়াই আমরা !

‘দিনে দিনে বাড়িয়াছে দেনা’-র মতো অন্তর্জগতে যে কত ভয়াবহ ভাবে আমরা ঋণগ্রস্থ তা ভাববারও সময় নেই আমাদের।

এর থেকে উদ্ধার পেতে গেলে সবচেয়ে বড়ো যুদ্ধ , বড়ো জেহাদ শুরু করতে হবে, আর তা হচ্ছে ‘নফ্স’-এর সাথে যুদ্ধ। বানরকে মাথা থেকে নামানোর যুদ্ধ।
অনেক কঠিন, অনেক দুর্গম এ পথ। কিন্তু এর বাইরে আর কোনো পথও নেই। “The ball is in our court and we have to decide”.

নফ্সকে করায়ত্ব করতে পারলেই প্রশান্তি আসবে। স্রষ্ঠার পক্ষের থেকে পবিত্র কোরানে ঘোষণা করা হয়েছে ” হে প্রশান্ত প্রবৃত্তি ! নিজ প্রতিপালকের দিকে প্রত্যাবর্তন করো। তুমি তার উপর তুষ্ট এবং তিনিও তোমার উপর তুষ্ট। ” আল কোরাণ

“উদ উ নি, আস্তাজিবলাকুম”- তোমরা ডাকো, আমি সাড়া দেব। -সূরা মু’মিন, আয়াত-৬০
সুতরাং বিধির বিধানে তৃপ্ত না হলে অতিরিক্তের জন্য অতিরিক্ত কাজে নেমে তাঁকে ডাকতে হবে। তাঁর রহমত চাইতে হবে। এর বাইরে আর কোনো পথ তিনি খোলা রাখেন নাই।
তিরমিযী শরীফে বর্ণিত,”অভাব-অনটনের সময় সচ্ছলতার জন্য দোয়া করে রহমত প্রাপ্তির জন্য অপেক্ষা করা সর্ব বৃহৎ ইবাদত। “

দোয়ার জন্য মুসলমান হওয়া, ওযু থাকা বা সময়ের কোনো বিশেষ শর্ত নেই। শর্ত একটাই: হযরত আবু হুরাইরা থেকে বর্ণিত “কোনো কোনো লোক খুব সফর করে এবং আকাশের দিকে হাত তুলে ‘ইয়া রব, ইয়া রব’ বলে দুআ করে কিন্তু তাদের পানাহার আর পোশাক-পরিচ্ছদ হারাম পন্থায় অর্জিত। এরূপ অবস্থায় তাদের দুয়া কিভাবে কবুল হবে ?”-মুসলিম শরীফ।

দুয়া-র জন্য আসমানের দিকে হাত তোলার আগে ভিতর আর বাহির, পোশাক আর খোরাক এই দুইয়ের বিশুদ্ধতা যাচাই করে নেওয়া কি বুদ্ধিমানের কাজ না ?

Categories: Uncategorized

1 Comment

Rabiul · July 19, 2019 at 12:32 pm

Excelent sir. Thats why need to know thy self. Death is must for Nafs but not Ruh.

Leave a Reply

Avatar placeholder

Your email address will not be published. Required fields are marked *