কি অদ্ভুত!
মানুষ আল্লাহ্ ও তাঁর ফেরেশতার চেয়ে অন্য মানুষকে বেশী ভয় করে।
সে মানুষের সামনে পাপ করতে ভয় করে কিন্তু মানুষের অগোচরে, গোপনে নির্বিকার ও নির্বিচারে পাপ করে যায়!!
যখন সে একা থাকে তখন তার আমল লিখার ফেরেশতা তার সাথে থাকে। তার প্রতিরক্ষার ফেরেশতা তার সাথে থাকে। সর্বোপরি আল্লাহ্ সুবহান্নালহতায়ালা, যে লতিফুল খবির, তার উপর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখেন। এসব কিছু উপেক্ষা করে, উপহাস করে সে নির্দ্বিধায় পাপাচার করে যায়!
যদি সে ঈমান এনে থাকে তাহলে তাকে তো বিশ্বাস করতেই হবে কারণ সুরা বাকারার প্রথমেই সেই অঙ্গিকারের কথা বলা হয়েছে। “আল্লাজিনা ইউমেনুনা বেল গায়বে…। বা ঈমান আনার অঙ্গীকার পাঠ করার সময় “আমান্তু বিল্লাহে, ও মালায়িকাতিহি……।”
“কারে তুমি দিতে চাও ফাঁকি?
মোর বুকে জাগিছেন অহরহ সত্যভগবান
তাঁর দৃষ্টি বড় তীক্ষ্ণ,
এ দৃষ্টি যাহারে দেখে তন্ন তন্ন করে খুঁজে দেখে তার প্রাণ”। – কাজী নজরুল ইসলাম
একজন মানুষ, একজন কবির দৃষ্টিতে সেই মহা তীক্ষ্ণ দৃষ্টিধারীর দৃষ্টির ক্ষমতার দৃশ্যায়ন এটা।
সমাজে অহরহ যে ভণ্ডামির নাটক দেখে চলছি আমরা সেই নাটকের কেবলামুখী হওয়া কুশিলবরা কি একবারও ভাবেন না এটা?
0 Comments