লালসার পরিণতিতে আব্বাসিয় খলীফা মুতাসিম বিল্লাহ’র করুন মৃত্যু।

أَلْهَىٰكُمُ ٱلتَّكَاثُرُ
حَتَّىٰ زُرْتُمُ ٱلْمَقَابِرَ

প্রাচুর্যের লালসা তোমাদেরকে গাফেল রাখে,
এমনকি, তোমরা কবরস্থানে পৌছে যাও।-সুরা তাকাসুর, আয়াত ১-২।

Our greed erodes us silently but we are busy meditating to get relief from Anxiety and Stress.

The only way to shake away Anxiety and Stress and lead a serene tranquil life is to reduce dependency on Material Possession as much as is possible.

The anecdote of the killing of Abbasid Caliph Motasim Billah by Halaku Khan is a royal example of the worthlessness of Material Possession.

আল্লাহ বলেনঃ দুনিয়ার প্রতি ভালবাসা, দুনিয়ার প্রতি লালসা তোমাদেরকে আখেরাতের প্রত্যাশা এবং সৎকাজ থেকে বেপরোয়া করে দিয়েছে।

তোমরা এ দুনিয়ার ঝামেলাতেই লিপ্ত থাকবে, হঠাৎ মৃত্যু এসে তোমাদেরকে কবরে পৌঁছিয়ে দিবে।

বন্দী করার পর হালাকু খান খলিফার খাবার বন্ধ করে দেয়।

খলীফা খাবার চাইলে তার সামনে প্লেট ভর্তি সোনার চাক্তি পরিবেশন করা হয়।

খলীফাঃ সোনা কি করে খাবো?

হালাকু খানঃ যদি বুঝে থাকো সোনা খাওয়া যায় না তাহলে এগুলো সঞ্চয় করেছিলে কেন? সৈন্যদের মাঝে বিলিয়ে দিলে তারা আজ তোমার হয়ে আমার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতো।

স্বর্ণপিণ্ড না বানায়ে যুদ্ধের অস্ত্র বানালে তো তা দিয়ে আমার বাহিনির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারতে।

খলীফাঃ “আমাদের তকদিরে এটাই ছিল। এটাই আল্লাহ্‌র ফয়সালা।”

হালাকু খানঃ “যে পরিণতির মুখোমুখি এখন হতে যাচ্ছ তাও আল্লাহ্‌র ফয়সালা ধরে নেবে।”

জনৈক জ্যোতিষী বলেছিল খলিফাকে হত্যা করলে পৃথিবী অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়বে। কিন্তু শিয়া পণ্ডিত নাসিরুদ্দিন তুসি এই কথা উড়ায়ে দিয়ে বলে একাধি আব্বাসিয় খলিফাকে হত্যা করা হয়েছে কিন্তু পৃথিবীর তো কোন বিপর্যয় ঘটেনি!!

হালাকু খান রক্তপাত ঘটানো থেকে বিরত থেকে ভিন্ন পথে খলিফাতে হত্যার পরিকল্পনা করে।

ঐতিহাসিক নুয়াইরি বলেন,”খলিফাকে বস্তায় ভরে তার উপর দিয়ে যুদ্ধের ঘোড়া ছুটিয়ে দিয়ে পিষে মেরে ফেলা হয় খলিফাকে।

দাউলাতুল আব্বাসিয়া কিতাবেও এই বর্ণনা আছে।

ঐতিহাসিক ইবন খালদুন একটু ভিন্ন কথা বলেছেন,”খলিফাকে বস্তায় ভরে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়।”

উভয় ক্ষেত্রেই “বস্তায় ভরা” কমন।

আমি অন্য একটা ইতিহাস গ্রন্থে দেখেছি, খলিফাকে দামী কার্পেটে পেঁচিয়ে শর্মার মতো রোল করে তার উপর দিয়ে দ্রুতগামী ঘোড়া ছুটিয়ে দিয়ে পিষে হত্যা করা হয়।

সঞ্চিত সম্পদ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সঞ্চয়কারী ভোগ করে যেতে পারে না।

দুনিয়া ও আখিরাতের মধ্যে কার উপর গুরুত্ব বেশী দেওয়া হচ্ছে তাই নির্ধারণ করে দুনিয়াবি প্রয়োজন কতটুকু হবে।

প্রয়োজন ও সঞ্চয়ের পরিমাণ দেখে বুঝা যায় ঐ ব্যক্তির কাছে কার গুরুত্ব বেশী দুনিয়া না আখিরাত।

আল্লাহ্‌ আমাদেরকে প্রয়োজনের অতিরিক দুনিয়াবি সম্পদ সঞ্চয় করার লালসা থেকে হেফাজত করুন।
আমীন।

#greed#anxiety#stress#life#materials#possession

Categories: Uncategorized

0 Comments

Leave a Reply

Avatar placeholder

Your email address will not be published. Required fields are marked *