যুদ্ধের মাঠে জাপানী জেনারেল দেখলেন শত্রুপক্ষের সৈন্য সংখ্যা অনেক বেশী। তাদের অবস্থান অনুযায়ী আক্রমণ ছাড়া অন্য যে কোন পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী হবে।
জেনারেল আক্রমনের আদেশ দিলেন। এক কর্নেল এসে অনুমতি নিয়ে কথা বলল,” হারতে যাচ্ছি।“
জেনারেল বল্লেন,” আমাদের ট্রেনিং ওদের চেয়ে অনেক উন্নত। আমাদের বিজয়ের ইতিহাস ওদের চেয়ে বেশী। যুদ্ধ না করলে আমাদের ক্ষতির পরিমাণ ওদের চেয়ে অনেক বেশী। সুতরাং আক্রমণ ছাড়া কোন বিকল্প পথ আমাদের সামনে খোলা নাই। তবে তুমি যখন বলছ তখন আমরা একটা “কয়েন টস” করে দেখতে পারি।“
সবার সামনে “কয়েন টস” করার আয়জন করা হল। সিদ্ধান্ত হল “হেড বা মাথা” উঠলে যুদ্ধ হবে। “টেইল” উঠলে যুদ্ধ হবে না।
সবাই দুরু দুরু বক্ষে অপেক্ষায়!
কয়েন’টা ‘শুকনো পাতার নূপুর পায়ে’ ঘূর্ণিপাকের মতো নাচতে নাচতে উপরের দিকে উঠতে লাগলো মনের আনন্দে কারণ কয়েনের তো যুদ্ধে হার জিতের কিছুই ছিল না। কয়েন পিক লেভেল থেকে অবরোহণ শুরু করলো দ্রুত লয়ে। সবার বুকের খাঁচার মধ্যের যন্ত্রটা কয়েনের চেয়ে বেশী গতিতে ধুকু পুকু করছিল।
কয়েন ধরায় অবতরণ করলো। সবার শ্যান দৃষ্টি শায়িত কয়েনের বুকে মাথা বা লেজ কি আছে তা দেখার জন্য তবে লেজ হলেই তারা খুশী হবে, যুদ্ধ করতে হবে না। দেখা গেলো সবাইকে হতাশ করে কয়েন বুকের উপর “মাথা” নিয়ে চিৎ হয়ে শুয়ে আছে প্রবল নৃত্যের পরে।
যুদ্ধ শুরু হল। যুদ্ধ শেষ হল। জাপানী জেনারেল জিতল।
সবাই মনে করেছিল যে কয়েনের “হেড বা মাথা” সৌভাগ্য বয়ে এনেছে তাই এ যুদ্ধ জয়। এ কথা শোনার পর জেনারেল শান্ত ভাবে কয়েনটাকে হাতের তালুতে রেখে কর্নেলকে দেখালেন যে কয়েনের উভয় পার্শেই “হেড বা মাথা” চিহ্নিত!!
আসল মারেফাতঃ সঠিক নেতৃত্ত্ব এবং কয়েন টসে’র ফলে সৈন্যদের মাঝে এক ধরণের আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়েছিলো যার ফলে তাদের সবার মধ্যে ‘পজিটিভ বায়োকেমিক্যাল চেঞ্জ’ আসতে শুরু করে যা তাদেরকে যুদ্ধ জয়ে আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছিল।
নেতৃত্ত্ব ঠিক থাকলে আত্মবিশ্বাস তৈরি হয় এবং জয় সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।
0 Comments