“Then why do ye not (intervene) when (the soul
Of the dying man)
Reaches the throat,
And ye the while (Sit) looking on,
But we are nearer
To him than ye,
And yet see not,
Then why do ye not
If you are exempt
From (future) account
Call back the soul
If ye are true
(in your claim of Independence )” সূরা ওয়াকিয়া ৮৩-৮৭, আব্দুল্লাহ ইউসুফ আলী।

পবিত্র কোরানের সূরা ওয়াকেয়া’র উপরের অনুবাদ পৃথিবী বিখ্যাত অনুবাদক আব্দুল্লাহ ইউসুফ আলী’র থেকে নেওয়া।
সরলার্থ করলে দাঁড়ায়:

“মৃত্যু পথযাত্রীর প্রাণ যখন ওষ্ঠাগত বা কণ্ঠনালীতে পৌঁছায় (তোমরা কেন বাঁধা দিতে হস্তক্ষেপ করোনা) ! তোমরাতো অসহায়ের মতো ফ্যাল ফ্যাল করে তাকায়ে থাকো, কিন্তু আমি তোমাদের চেয়ে তার সবচেয়ে নিকটে, তোমরা তা দেখতে পারোনা। তোমরা যদি পরকালে হিসাব দেওয়ার উর্দ্ধে থাকো তাহলে, তোমাদের স্বেচ্ছাচারের দাবি যদি সত্যি হয়, মৃত্যুপথযাত্রীর রূহকে কেন ফিরায়ে আনো না? “

বর্তমানে বৈশ্বিক এই অভাবনীয় দুর্যোগের মুহূর্তে, যখন ইতালি’র রাষ্ট্রপ্রধান আকাশের দিকে তাকায়ে তাঁদের করণীয় শেষে আকাশের স্রষ্ঠার করুণার দিকে চাতকের মতো কাতর দৃষ্টিতে তাকায়ে আছে, সূরা ওয়াকেয়ায় আল্লাহর দেওয়া এই চ্যালেঞ্জের বাস্তবতা ও সত্যতা উপলব্ধি করি।

ক্ষেপার সাগর কূলে নূড়ি কুড়ানোর মতো আমরা ভোগবাদ আর বস্তূপ্রেমে এমন বিভোর ছিলাম যে পরিবার-পরিবেশ-প্রকৃতি সব কিছু ভুলে উন্মাতাল হয়ে ছুটছিলাম।

বিজ্ঞানের আবিষ্কার নিঃসন্দেহে মানব কল্যানে হওয়ার কথা। কিন্তু পাশবিকতার গ্রাসে পড়ে অনেক অনৈতিক, অস্বাভাবিক কাজ হচ্ছিলো যা রোধ করা অবশ্যাম্ভাবী হয়ে দাঁড়িয়েছিল। প্রকৃতিকে শেষ করেছি আমরা। কার্বন নিঃসরণ করে কলিজা কালো করে ফেলেছি। হিমবাহুকে অটল থাকতে দেই নাই। মানবিকতাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখায়ে যে পাশবিক কাজের অবতারণা করেছি তার মাশুল দেওয়ার সময় এসেছে।

সময় এসেছে শান্ত সমাহিত হয়ে বসে অন্তরাত্মাকে প্রশ্ন করা: কোথায় ছিলাম? কোথায় এলাম? কি করেছি? কি করা উচিৎ ছিল? কোথায় যাচ্ছি?

অমিততেজীর হুঙ্কার আর প্রলয়ঘটানো সমর-সরঞ্জাম গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। ওদের আজ কোনো কাজ নাই।

এক সময় এই ধরিত্রী শান্ত হবে। আমি থাকবো। হয়তো থাকবো না। এই সর্বগ্রাসী মহামারী থেকে আমরা কি শিক্ষা নেবো না?
নাকি পররবর্তী মহা-মহামারীর জন্য আমরা অপেক্ষা করবো বা উত্তর পুরুষেরা প্রহর গুণবে?

যদি শিক্ষা নেই তাহলে জীবনাচারে শুদ্ধি আনতে পারে :

-লোভ-লালসা-হিংসা-বিদ্বেষ পরিহার করে স্নিগ্ধ জীবন যাপন করার চেষ্ঠা
-সামর্থ্যের মধ্যে থেকে হালাল উপার্জন করে নিঃশঙ্ক জীবন যাপন
-পরিবার-প্রতিবেশী-সমাজ-দুস্থ-প্রকৃতি সবার প্রতিই দৃষ্টি
-স্রষ্ঠার যে অবারিত করুনায় জীবন পুষ্ঠ হচ্ছে সেই মহান স্রষ্টার দিকে প্রত্যাবর্তন করে তাঁর নেয়ামতের শোকর করা ও মাথা নত করা

শ্রষ্ঠা আমাদেরকে তাঁর শ্ৰেষ্ঠত্ব দেখায়ে আমাদেরকে ডাকছে কুলায় ফিরতে। বিষয়-আশয়ের দুর্দান্ত -দৌরাত্ত্বতো দেখা হলো, এবার অধ্যাত্ম-দর্শণের কোলে ঠাঁই নেওয়াই একমাত্র অবলম্বন।

কাজী নজরুল ইসলামের একটা প্রেমের গানের কিছু কথা প্রাসঙ্গিক মনে হচ্ছে :
“খেলো খেলো তুমি আজো বেলা আছে
খেলা শেষ হলে যেয়ো মোর কাছে
প্রেম যমুনার তীরে বসে রবো লইয়া শুন্য ভেলা। ..
শেষ হয় নাই বেলা। ….
খেলা শেষ হলো, শেষ হয় নাই বেলা। …..”
স্রষ্টা অধীর হয়ে বসে আছেন আমাদেরকে কোলে তুলে নিতে।

বাহিরে কোথাও না যেয়ে স্রষ্টাকে খুঁজতে হবে অন্তর্লোকে। স্বামী বিবেকানন্দ চমৎকার উপমায় বলেছেন : After long searches here and there, in temples and in churches, on earth and in heaven, at last you come back to your own soul, completing the circle from where you started, and find that He whom you have been seeking all over the world, for whom you have been weeping and praying in churches and temples, on whom you were looking as the mystery of all mysteries ,shrouded in the clouds, is the nearest of the near, is your own self, the reality of your life, body and soul,…By means of spiritual discipline the individual soul ultimately recognizes its oneness with the Universal Soul.

অন্তরে অবগাহন করে অন্তরতমকে পাওয়াই হবে এই মহা দুর্যোগের একমাত্র নিদান।

Categories: Uncategorized

0 Comments

Leave a Reply

Avatar placeholder

Your email address will not be published. Required fields are marked *