ফিলিস্থিনে আবারো বিমান হামলা-২

কোরাণ-হাদিসে বর্ণিত কুরবানির ঐশ্বরিক ঐতিহাসিক সত্য ইহুদীরা অবলীলায় মিথ্যা বলে প্রচার করে।

বনী ইসরাইলীরা অভাবের তাড়নায় কখনো ফিলিস্তিন ছেড়ে গেছে আবার অনেক বার তাদের উপর অত্যাচারী শাসক নাজিল হওয়ায় তারা ফিলিস্তিন ছেড়ে দুনিয়াময় ভবঘুরের মতো ঘুরে বেড়াতে বাধ্য হয়েছিল।

পাপ, পঙ্কিলতা, হিংসা, বিদ্বেষ, পরশ্রীকাতরতা ইহুদীদের মজ্জাগত বদভ্যাস। তার সবকিছু বা অনেক কিছুই আমাদের সবার জানা নেই। এটা না জানা পর্যন্ত “ইসরাইল-ফিলিস্তিন” ইস্যু নিয়ে আলোচনা করলে তা বোধগম্য হবে না। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে। তাই এই লেখার ব্যাপ্তি ও পরিসর বিশাল সময় ও অঞ্চল ঘিরে। এই লেখার ধারাবাহিক পাঠক হলেই উপলব্ধি করা যাবে কেন রাজনৈতিক হিটলার পর্যন্ত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে “ইহুদী নিধন -যজ্ঞে” মাতোয়ারা হয়েছিলেন।

হাজার বছরের ইতিহাস জুড়ে ইহুদীদের আল্লাহ্‌র নেয়ামতের শোকর না করা, কঠিন বিপদে আল্লাহ্‌র কাছে ক্ষমা চেয়ে উদ্ধার পেয়েই আবার সেই পুরনো খাছলাতে ফিরে যাওয়া জাতীয় চরিত্রে পরিণত হয়েছিল। অবাধ্যতা, উলঙ্গ পাপাচার, অশ্লীলতা, নবীদেরকে হত্যা করা তাদের কাছে নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছিল। হযরত ঈসা (আঃ) কে অস্বীকার করা, তাঁর বিরোধিতা করা ও হত্যা প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে শেষ হয় “ইয়াকুবিয়” ঘরানায় নবুওত প্রাপ্তি। এর পর শুরু হয় “ইসমাইলিয়” ঘরানার নবুওতি যা আখেরি নবী হযরত মোহাম্মাদ (সাঃ)  এর মধ্য দিয়ে পৃথিবীতে নবুয়তের শেষ হয়। 

আগামী ২১শে জুলাই পবিত্র ঈদুল আযহা। এই দুর্যোগময় করোনাকালিন সময়ে আল্লাহ্‌ সবাইকে নির্ভাবনায় কুরবানি করার তৌফিক এনায়েত করুন এই প্রার্থনা করি। কুরবানিকে মাথায় রেখে এই কুরবানি নিয়ে ইহুদীদের চরম মিথ্যাচার নিয়ে আজকের লেখা।

আমরা পবিত্র কোরান ও হাদিস থেকে জানি যে হযরত ইব্রাহীম (আঃ)কে আল্লাহ্‌ তায়ালা আদেশ করেন প্রিয়তম জিনিসকে কুরবানি করতে যা ছিল তাঁর অনেক কামনার, অনেক প্রার্থনায় অলৌকিক ভাবে বৃদ্ধ বয়সে পাওয়া  প্রথম পুত্র ইসমাইল (আঃ)। ইব্রাহীম খলিলুল্লাহ এবারের পরীক্ষায়ও পাস করেন প্রাণ প্রিয় পুত্র ইসমাইল (আঃ)কে কুরবানি করতে উদ্যত হয়ে। কিন্তু জনম-পাপাচারী ইহুদিরা আরবদের প্রতি হিংসার কারণে তা অস্বীকার করে এবং মিথ্যা জেনেও প্রচার করে যে ‘ইসমাইল না’ কুরবানি হয়েছিলো ইসহাক যা কোরানের সরাসরি বিরোধিতা।

ইব্রাহীম (আঃ)এর এক পুত্র ইসহাক (আঃ)। ইসহাক (আঃ)এর পুত্র ইয়াকুব (আঃ)। ইয়াকুব (আঃ)এর অন্য নাম ইসরাইল। এর থেকে বনী ইসরাইল।  ইয়াকুব (আঃ) বা ইসরাইলের এক পুত্রের নাম ইয়াহুদা থেকে এদেরকে ইহুদী বলা হয়।  ইয়াকুব (আঃ)এর ১২ পুত্রের মধ্যে ইউসুফ (আঃ) ও বনিয়ামিন এক মায়ের গর্ভজাত দুই ভাই।

ইউসুফ (আঃ) ছোট বেলায় একদিন স্বপ্ন দেখে বাবাকে জানালেন।

আব্দুল্লাহ ইউসুফ আলী সুরা ইউসুফের ৪ নম্বর আয়াতের তরজমা করেছেন এইভাবেঃ Behold, Joseph said To his father,” O my father, I did see eleven stars And the sun and the moon: I saw them prostrate themselves To me.”

যখন ইউসুফ (আঃ) পিতাকে বল্লেনঃ পিতা, আমি স্বপ্নে দেখেছি এগারোটা নক্ষত্রকে। সূর্যকে এবং চন্দ্রকে। আমি তাদেরকে আমার উদ্দেশ্যে সেজদা করতে দেখেছি।

মিশরের বাদশা স্বপ্নে দেখেন ৭টা মোটা তাজা গাভীকে ৭ টা শীর্ণ গাভী খেয়ে ফেলছে। মিশরের জেলখানায় বন্দী ইউসুফ (আঃ) স্বপ্নের ব্যাখ্যা দেনঃ প্রথম ৭ বৎসরের উত্তম চাষাবাদের ফসল থেকে অল্প খেয়ে বাকীটা শীষ সহ সঞ্চয় করবে যাতে পরবর্তী দুর্ভিক্ষের ৭ বৎসর সঞ্চিত ফসল খেয়ে জীবন বাঁচাতে পারো।

অনেক ঘটনা পরম্পরায় হযরত ইউসুফ (আঃ) মিশরের বাদশা হন। লোকেরা সাহায্য নিতে মিশরে আসতে থাকে। দুর্ভিক্ষে পড়ে প্রথমে ইউসুফ (আঃ)এর ১১ ভাইয়েরা ও পরে বাবা মাকে নিয়ে আসার জন্য ইউসুফ (আঃ)এর আদেশে তাঁর ১১ ভাইয়েরা ও বাবা মা যখন মিশরে খাদ্য আনতে যেয়ে বাদশাকে সেজদা করে (সে সময়ের শরীয়ত অনুযায়ী) তখন ইউসুফ (আঃ) বলেছিলেন, “বাবা এই সেই স্বপ্ন যা আমি আজ থেকে ৪০ বৎসর আগে দেখেছিলাম।“ বাবা মা চন্দ্র সূর্য এবং ১১ ভাই ১১ তা নক্ষত্র।    

তখন থেকে বনী ইসরাইলীরা স্থায়ীভাবে মিশরে বসবাস করতে থাকে। নানা ঘটনার পরে বনী ইসরাইলীরদের অধঃপতন হয়। মিশরের শাসকগোষ্ঠী কিবতিদের দাস হিসেবে তারা অসন্মানিত জীবন যাপন করতে থাকে। এই কিবতিদের মধ্য থেকে বাদশা ছিল ফেরাউন। বনী ইসরাইলীদের উপর জুলুম নির্যাতনের এমন সময়ে জন্ম হয় হযরত মুসা (আঃ) এর।

বনী ইসরাইলীদের নিয়ে লোহিত সাগর পাড়ি দেওয়ার পর বনী ইসরাইলীরা আবারও নানা অবাধ্যতা ও অনাচার পাপাচার করে। পরবর্তী লেখায় সেগুলো নিয়ে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ। ছোট বেলা থেকে শুনে আসছি যে মুসা (আঃ) বনী ইসরাইলীদেরকে নিয়ে নীল নদ পার হয়েছিলেন। আমি যতটুকু ভূগোল জানি তাতে ফিলিস্তিনে আসতে গেলে লোহিত সাগর বা রেড সি পার হতে হয়, নীল নদ না। কারণ শ্বেত  নীল নদের গতিপথ রুয়ান্ডা-তাঞ্জানিয়া-লেক ভিক্টোরিয়া-উগান্ডা-সুদান এবং নীলাভ নীল নদের গতিপথ ইথিউপিয়ার তানা হ্রদ থেকে সুদান। এর পর উভয় নীল একত্রে মিশরের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ মরুপথ পাড়ি দিয়ে ভুমধ্যসাগরে মিশেছে। আল্লামা ইবনে কাসির ও আল্লামা জালালুদ্দিন সুয়ুতির বর্ণনায় তাই পাওয়া যায়।

একবার ফিলস্তিন অঞ্চলে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। খাদ্য পানীয়ের অভাবে মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। নীল নদের পানিতে উর্বর মিশরকে “শস্যভাণ্ডার” বলা হয়। সিদরাতুল মুন্তাহার মুলদেশ থেকে দুইটা দৃশ্যমান ও দুইটা অদৃশ্য নদী প্রবাহিত। দুইটা দৃশ্যমান নদী হচ্ছে মিশরের নীল ও ইরাকের ফোরাত।

অভাবের তাড়নায় উপায়ন্তর না দেখে হযরত ইব্রাহিম (আঃ) বিবি সারা ও ভাতিজা লুত (আঃ)কে সাথে নিয়ে খাদ্যের সন্ধানে মিশরের পথে রওয়ানা হন।

একবার দুর্ভিক্ষে ইব্রাহীম (আঃ) সপরিবারে মিশরে হিজরত করেন। অন্যবার ইব্রাহীম (আঃ)এর দুই পুরুষ পরে দুর্ভিক্ষে ইউসুফ (আঃ) সহ সমস্ত বনী ইসরাইল মিশরে হিজরত করেন। উল্লেখ্য, মিশরে ইব্রাহীম (আঃ) অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল হলে বায়তুল মুকাদ্দাসে ফিরে আসেন কিন্তু ইউসুফ (আঃ) এর সময় থেকে বনী ইসরাইলীরা মিশরে বসবাস করতে থাকে এবং কিবতিদের দাসে পরিণত হয়ে জিল্লতী জীবন যাপনের সময় আল্লাহ্‌ হযরত মুসা (আঃ)কে পাঠান তাদেরকে উদ্ধার করে বায়তুল মুকাদ্দাসে ফিরায়ে আনতে।

ইব্রাহীম (আঃ) মিশরের নিকটবর্তী হলে বাদশার লোকেরা বিবি সারাকে লম্পট বাদশার কাছে ধরে নিয়ে যায়। বাদশা বিবি সারার দিকে হাত বাড়ালে বিবি সারার দোয়ায় বাদশা গজবে পড়ে। বাদশার অনুরোধে বিবি সারার দোয়ায় গজব দূর হয়। বাদশা আবারো হাত বাড়ায় এবং শেষ পর্যন্ত বিবি সারার দোয়ায় গজব দূর হয়।

বিবি সারাকে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে হযরত ইব্রাহিম (আঃ) নামাজে দাঁড়ান এবং বিবি সারা ফিরে না আসা পর্যন্ত নামাজে ছিলেন। কথিত আছে যে সে অবস্থায় ইব্রাহিম (আঃ)এর চোখের সামনে থেকে পর্দা সরায়ে দেন আল্লাহ্‌ যাতে ইব্রাহিম  (আঃ) বিবি সারার শুদ্ধতা সম্পর্কে নিশ্চিন্ত হতে ও অন্তঃরে প্রশান্তি লাভ করতে পারেন।

বিফল ও সন্ত্রস্থ বাদশা বিবি সারাকে ছেড়ে দেন এবং বিবি সারার খেদমতের জন্য কিবতি রমণী বিবি হাজেরাকে দেন। এই কিবতি রমণী হাজেরার গর্ভজাত সন্তান ইসমাইল (আঃ), ইব্রাহিম (আঃ) যাকে আল্লাহ্‌র হুকুমে কুরবানি করতে উদ্যত হন।  

অন্যদিকে বিবি সারার গর্ভজাত সন্তান হযরত ইসহাক (আঃ)। ইসহাক (আঃ)এর ছেলে ইয়াকুব (আঃ)এর সন্তানদের মধ্য থেকে ইউসুফ (আঃ) মিশরে প্রতিষ্ঠিত হন এবং তাঁর উছিলায় অন্য বনী ইসরাইলীরাও মিশরে বসবাস করতে থাকে। এক পর্যায়ে বনী ইসরাইলীরা ইসমাইলিও রক্তের পূর্বসূরি কিবতিদের সেবা দাসে পরিণত হয়। (ইসমাইল (আঃ)এর মা বিবি হাজেরা ছিল কিবতি বংশের যাকে অত্যাচারী বাদশা বিবি সারার দাসী হিসেবে দিয়েছিল।) 

ইব্রাহিম (আঃ) বিবি সারা, বিবি হাজেরা ও পশু সম্পদ, গোলাম, বাঁদি, অন্যান্য সম্পদাদি নিয়ে বায়তুল মকাদ্দাসে ফিরে আসেন। পথে লুত (আঃ) তার পশু ও সম্পদ নিয়ে আলাদা হয়ে “গাওরে জাগার” নামক জায়গায় যান যেখানকার অধিবাসিরা ছিল কাফির, পাপাসক্ত ও দুষ্কৃতিকারী।

আল্লাহ্‌ ইব্রাহীম (আঃ)কে  দৃষ্টি প্রসারিত করে উত্তর দক্ষিণ পূর্ব পশ্চিমে তাকাতে বলেন এবং জানান যে এই সমুদয় স্থান তোমাকে ও তোমার উত্তরসুরিদের চিরদিনের জন্য দান করবো। (প্রমিজড ল্যানড। ইহুদীরা বলে থাকে যে আল্লাহ্‌ তাদেরকে এই ভুখণ্ডের ওয়াদা করেছিল। )

বিবি সারার কোন সন্তান না হওয়ায় তিনি তাঁর বাদী বিবি হাজেরার অধিকার স্বামী ইব্রাইম (আঃ)কে দিয়ে দেন এবং তখনকার শরিয়ত অনুযায়ী বিবি হাজেরা গ্রহন করে সন্তান লাভের চেষ্টা করতে বলেন।   

বিবি হাজেরার গর্ভে জন্ম নেয় শিশু ইসমাইল। ক্রীড়ারত উৎফুল্ল ইসমাইল ও মাতৃতে গরবিনী হাজেরাকে দেখে বিবি সারার মন ভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে, ঈর্ষা হয়।  দিনে দিনে অসহনীয় হয়ে ওঠে বাড়ির পরিবেশ। মানসিক অশান্তিতে ক্লান্ত বিবি সারা  স্বামী ইব্রাহীম (আঃ)কে বলেন তাঁর চোখের সামনে থেকে হাজেরাকে দূর করতে।

শিশু পুত্র ইসমাইল ও হাজেরাকে নিয়ে ইব্রাহীম  (আঃ) যাত্রা করলেন ।    

মক্কায় এসে একটা থলেতে কিছু খেজুর ও একটা মশকে একটু পানি দিয়ে হাজেরাকে শিশু পুত্রসহ রেখে আসেন। পরের কাহিনী কম বেশী সবার জানা।

ইসমাইল (আঃ) বড় হতে থাকেন। ইয়ামানের জুরহুম গোত্রের কিছু লোক ঐ পথ দিয়ে যাবার সময় পাখী উড়তে দেখে বলল, নিশ্চয়ই এখানে পানি আছে। এর পর মশক দিয়ে লোক পাঠালে তারা বিবি হাজেরা, শিশু ইসমাইল ও যমযম কুপের সংবাদ নিয়ে যায়।  পথিকেরা এইখানে বসবাসের অনুমতি চায়। হাজেরা অনুমতি দেয়। তারা মানুষের সংসর্গ সাহচর্য পেল। ইসমাইল তাদের কাছ থেকে আরবি ভাষা শিখল।

আল্লাহ্‌র আদেশে পুত্র ইসমাইলকে কুরবানির কথা বল্লে ইসমাইল শোনা মাত্রই বললেন, “আল্লাহ্‌ যা আদেশ করেছেন তাই করুন। আপনি আমাকে ধৈর্যশীল পাবেন।“

কুরবানি করতে গেলে ইসমাইলের পরিবর্তে একটা দুম্বা কুরবানি হয় এটা আমাদের সকলের জানা।  সিং বিশিষ্ট সাদা দুম্বা যা ইব্রাহীম (আঃ) সাবির পর্বতে বাবলা গাছে বাঁধা দেখেছিলেন।

“তাই জননী হাজেরা বেটারে পরা’লো বলীর পূত বসন

ওরে হত্যা নয় আজ ‘সত্যাগ্রহ’ শক্তির উদবোধন!

এই দিনই ‘মিনা’ ময়দানে, পুত্র স্নেহের গরদানে,

ছুরি এনে ‘খুন ক্ষরিয়ে নে’,

রেখেছে আব্বা ইব্রাহিম সে আপনার রুদ্র পণ!

ছি! ছি!  কেঁপ না ক্ষুদ্র মন !

আজ জল্লাদ নয়, প্রহ্লাদ-সম মোল্লা খুন-বদন!  

ওরে হত্যা নয় আজ ‘সত্যাগ্রহ’ শক্তির উদবোধন!” -কাজী নজরুল ইসলাম। (কুরবানি কবিতায় ১০টা হিন্দু পৌরাণিক শব্দের ব্যাবহার আছে!!!)

আল্লাহ্‌ বলেন “ইয়া ইব্রাহীম, কাদ সাদ্দাক্তা রুইয়া”- হে ইব্রাহীম! তুমি স্বপ্নকে সত্যি পালন করলে। অর্থাৎ তোমাকে পরীক্ষা করার উদ্দেশ্য পূর্ণ হয়েছে। 

হযরত ইব্রাহীম (আঃ)এর আত্মত্যাগ, পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া ও দোয়ার বরকতে আল্লাহ্‌ ইব্রাহীম (আঃ)কে বিশেষ দেশের ওয়াদা করেন (প্রমিজড ল্যান্ড) এবং তাঁর বংশে যে কত নবী রসূল পাঠায়েছেন তা আল্লাহ্‌ ছাড়া আর কেউ জানে না। বনী ইসরাইলীদের এটাও একটা অহংকার ছিল।

আরবদের মধ্য থেকে ৪ জন নবী এসেছিলেনঃ হযরত হুদ (আঃ), শোয়াইব (আঃ), সালেহ (আঃ) ও শেষ নবী মহাম্মাদুর রসুলুল্লাহ (সাঃ)। বনী ইসরাইলীরা আরবদের প্রতি হিংসার বশবর্তী হয়ে আরবের নবীর উপর নাজিলকৃত গ্রন্থ আল কুরআনের বর্ণনাকে স্বীকার না করে বলে যে ইসমাইল (আঃ)কে না, জবেহ করা হয়েছিলো ইসহাক (আঃ)কে।

কিন্তু পবিত্র কোরানে সুরা সাফফাতে হযরত ইসমাইল (আঃ)কে “জাবিহ” বলা হয়েছে।

“ডুবে ইসলাম, আসে আঁধার!,

ইবরাহীমের মতো আবার

কুরবানি দাও প্রিয় বিভব!,

‘জবিহুল্লাহ’ ছেলেরা হোক

যাক সব কিছু – সত্য রোক,

মা হাজেরা হোক মায়েরা সব!”- শহীদী-ঈদ, কাজী নজরুল ইসলাম।  

সুরা সাফসাত, হুদ, হিজর, জারিয়াত, আনাআম, মারিয়ামে আল্লাহতায়ালা হযরত ইসহাক (আঃ)এর জন্মের সুসংবাদ দেন হযরত ইব্রাহীম (আঃ) ও বিবি সারাকে।  হযরত ইসমাইল (আঃ)এর জন্মের আনুমানিক ১৪ বৎসর পরে হযরত ইসহাক (আঃ)এর জন্ম হয়। (চলবে)

Categories: Uncategorized

0 Comments

Leave a Reply

Avatar placeholder

Your email address will not be published. Required fields are marked *