একটা প্রথম সারির দৈনিক পত্রিকার খবর অনুযায়ী ২১ শে মে ২০২১, ১১ দিনের যুদ্ধের পর যুদ্ধ বিরতি হয়। ২৫ দিন পর আজ বুধবার সকালে ইসরাইল আবার হামলা শুরু করেছে। কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে ফিলিস্থিন ডিভাইস যুক্ত বেলুন পাঠিয়েছে ইসরাইলে। কিছু বেলুনের কারণে আগুন ধরেছে। ২০ টার মতো বেলুন তারা ভূপাতিত করেছে।
অনেক ঘটনা বহুল হাজার বছরের জটিল ইতিহাসের পরিণতি ইসরাইল ও ফিলিস্থিনের এই বর্তমান সংকট। ইচ্ছা রাখি দাউদ (আঃ), সুলাইমান (আঃ) থেকে শুরু করে ইব্রাহিম (আঃ) হয়ে ঈসা (আঃ), নবী করীম (সাঃ ), হযরত উমর (রাঃ) এর সময়ের জেরুজালেম বিজয়, ক্রুসেড, তাতারদের ধ্বংসযজ্ঞ, খোলাফায়ে রাশেদিন, উমাইয়া, আব্বাসিয়,স্পেনে মুসলমানদের ইতিহাস, অন্ধকার ইউরোপের রেনেসাঁ, শিল্প বিপ্লব সমুহ, প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ, মালে গনিমতের মতো ২য় বিশ্ব যুদ্ধে পরাজিত আরব অঞ্চলসমুহকে ইউরোপের নিজেদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা করে নেওয়ার উপর আলোচনা করার।
কারণ, আমাদের মুসলমান সমাজকে তিনটা সহজ জিনিস করতে দেখে আসছি ছোটবেলা থেকে (১) জুম্মার নামাজের পর আল্লাহ্র কাছে ফিলিস্থিনিদের জন্য সকাতর মুনাজাত ও ইসরাইলের জন্য অভিশাপ, অভিসম্পাত (২) সব কিছুকে ইহুদি, নাসারাদের চক্রান্ত বলে অবিহিত করা। (৩) যে কোন নাজুক পরস্থিতিতে বাস্তবতার যৌক্তিক সমাধানের কষ্ট ক্লেশের পথে না যেয়ে সব কিছু কোরান ও হাদিছে আছে বলে জায়নামাজে বসে ইয়াজুজ মাজুজ, দাব্বাতুল আরদ, ইমাম মেহেদি, ঈসা (আঃ)-এর আগমনের অপেক্ষায় হাজার বছর কাটায়ে দেওয়া।
আমি তৃতীয় অদৃশ্য বিষয়কে অস্বীকার করছি না। একজন মুসলমান হিসেবে বিশ্বাস করি। কিন্তু কোন বাস্তব ঘটনার যুক্তি সঙ্গত কারণ নির্ণয় করা ও পরবর্তী করনীয়ের স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করে কাজ করা উচিৎ বলে আমি বিশ্বাস করি। সেখানেই আমাদের ঘাটতি অনেক, অনেক।
“ইটটি মারলে পাটকেলটি খেতে হয়।” যুদ্ধ বিরতির পর ডিভাইস যুক্ত বেলুন পাঠাতে গেলাম কেন? বেলুন পাঠানোর পিছনেও কারণ থাকতে পারে। তবে, বেলুন পাঠানোর চেয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে না? সেই সংশোধন ও প্রস্তুতি কৈ?
হযরত উমরের মতো একজন আদর্শ মুসলমান, একজন আদর্শ নেতা ও একজন আদর্শ শাসকের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম আক্ষেপ করে লিখেছিলেন,
“আখেরি নবী কহিয়া গিয়াছেন, ঈসা আসিবেন ফের,
চাহিনা তাহারে, তুমি এসো বীর, হাতে নিয়ে শমসের।” (চলবে)
0 Comments