প্রশ্ন ছিল, আমাদের শরীরের কোন অংশ সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ?

উত্তর এলো, “শ্রবণেন্দ্রিয় বা কান।“ কারণ শব্দ আমাদের জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কথা বলা, শোনা সহ নানা ক্ষেত্রে শব্দের কোন বিকল্প নেই।

প্রশ্নকর্তাঃ “দুনিয়ায় অনেকে বধির কানে শুনতে পায় না! তাদের জীবনও চলে। চিন্তা করে উত্তর দাও।“

কিছুদিন পর উত্তর এলো, “চোখ গুলো গুরুত্বপূর্ণ।“ দৃষ্টি আমাদের জীবনে অপরিহার্য।

প্রশ্নকর্তাঃ “দুনিয়ায় অনেক অন্ধ লোক আছে। তাদের দিন রাতও কাটে। এমনকি অন্ধরা খুব কমই সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয় বা মারা যায়।“

এভাবে বহুদিন প্রশ্নকর্তা কোন উত্তরই ঠিক হিসেবে মেনে নিতে পারেন নাই।

দাদা মারা গেলেন।

সবাই কাঁদল।

বাবাও কাঁদল, তবে এই নিয়ে দুইবার তাঁর জীবনে কাঁদল।

এবার প্রশ্নকর্তা জানতে চাইলো, “তুমি কি জানো আমাদের শরীরের কোন অঙ্গ বা অংশ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ?”

হতবাক ও বিহ্বল দেখে প্রশ্নকর্তা বল্লেন, “শরীরের সমস্ত অঙ্গই অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিবার তুমি আমাকে উত্তর দিয়েছ আর আমি ‘না’ করে দিয়েছি। আজ তোমার শেখা দরকার সত্যিকারের উত্তরটা।“

“শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হচ্ছে আমাদের ‘কাঁধ’ বা ‘ঘাড়’।

আমাদের মাথাকে ধারণ করে রাখে সেই জন্য? উত্তর এলো, ‘না’।

প্রশ্নকর্তা বলে চললেন, ” ‘কাঁধ’ বা ‘ঘাড়’ এই জন্যে এত প্রয়োজনীয় অঙ্গ যে, কোন বন্ধু বা প্রিয়জন কখনো কাঁদলে তার মাথাটা রাখার একমাত্র যায়গা হচ্ছে আমাদের ‘কাঁধ’ বা ‘ঘাড়’। জীবনে কাঁদার সময় প্রতিটা মানুষের এমন একটা ‘কাঁধ’ বা ‘ঘাড়’একান্ত প্রয়োজন।

আমি বিশ্বাস করি, “তোমাকে জীবনে কাঁদতে হলে প্রিয়জনের ‘কাঁধ’ বা ‘ঘাড়’ তোমাকে নিঃশঙ্ক করবে, নির্ভার করবে।

হতভাগা সেই যার এমন একটা ‘কাঁধ’ নেই।  

Categories: Uncategorized

0 Comments

Leave a Reply

Avatar placeholder

Your email address will not be published. Required fields are marked *