হক অর্থ অধিকার।
হক দুই প্রকার: ১) হক্কুল্লাহ বা আল্লার হক ২) হক্কুল ইবাদ বা বান্দার হক
নামাজ, রোজা , হজ্জ্ব ইত্যাদি আল্লার হক। যদি সেই হক আদায় না করা হয়ে থাকে আল্লার কাছে তাওবা করে ক্ষমা চাইলে আল্লাহ হয়তো ক্ষমা করে দিতে পারেন। যদিও আল্লাহ কোরানে বলেছেন , “আল্লার রহমত থেকে তোমরা নিরাশ হইও না। “
হক্কুল ইবাদ বা বান্দার হক আদায় না করলে ওই বান্দা ক্ষমা না করলে আল্লাহও ক্ষমা করতে পারবেন না।
ব্যবসা করলে ক্রেতাকে ঠকালে সেই অগুণিত ক্রেতার কাছ থেকে ক্ষমা না পেলে ওই অপরাধের শাস্তি পেতে হবে।
চাকুরী করলে উপার্জন টুকু শুদ্ধ করে না নিলে তা বে-হালাল হয়ে যাবে। দিন শেষে দিনের বেতনের শর্ত অনুযায়ী কাজটা করেছি কি না তা নিজের মনের কাছে প্রশ্ন করে ঠিক করে নিতে হবে। যদি দিনের বেতনের সমপরিমাণ কাজ না হয়ে থাকে তাহলে পরের দিন সেই হক আদায় করে নিলে নিজের মনের কাছে শুদ্ধ হয়ে ওঠা যাবে।
বান্দার হক নষ্ট করে উপার্জিত অর্থের বিনিময়ে সংগ্রহ করা খাদ্য থেকে প্রাপ্ত শক্তি দিয়ে ইবাদাত করে তা কবুল হওয়ার প্রত্যাশা করা বোকামী !
কাজ পসন্দ না হলে কূট-যুক্তি দিয়ে কাজ কম না করে নিজেকে প্রস্তূত করা ও অন্যত্র পসন্দমতো কাজ বেছে নেওয়া উত্তম।
অনাদায়ী হকের জন্য পরকালে কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে। কারণ ক্ষমা আল্লাহর কাছ থেকে না , ওই মালিকের কাছ থেকে নিতে হবে যার অধীনে কাজ করার সময়ে তাঁর হক নষ্ট করা হয়েছিল।
বান্দার হকের আওতায় পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সব আচার-আচরণ লেন-দেন অন্তর্ভুক্ত।
আল্লাহ আমাদেরকে আল্লাহর হক ও বান্দার হক এই উভয় প্রকার হক আদায় করার তৌফিক এনায়েত করুন। আমীন।
0 Comments