প্রজ্ঞা সেটাই যখন তুমি জানো “কি চাইতে হবে আর কি চাইতে হবে না। “
চাওয়া-পাওয়ার সীমানা ঠিক করে ফেল্লে দুঃখ-কষ্ট-যন্ত্রনা-অন্তর্জ্বালা-ঈর্ষা-প্রতিহিংসা-পরশ্রীকাতরতা-লোভ-লালসা-মানসিক চাপ ও অস্থিরতা সহ অসংখ্যা Negative Emotion দূরীভূত হয়ে যায়। স্থির, প্রশান্ত চিত্তে তোমার দৈনন্দিন কাজ আনন্দের সম্পাদন করতে পারবে। কাজ তখন দ্বিতীয় ইবাদত বা উপাসনা হয়ে উঠে।

তোমার গন্তব্যের পরিকল্পনা এমন ভাবে করবে যা তোমার নিজেকে পুরস্কৃত করবে, অন্যকে না। কর্ম জীবনের শুরুতে কিছু নিরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে বুঝতে যে তুমি সত্যি সত্যি কি পছন্দ করো আর তুমি কিসে করিৎকর্মা। পেশা এবং অর্থনৈতিক লক্ষ্য সামঞ্জস্যপূর্ণ ভাবে তৈরী হওয়া উচিত। পরিকল্পনার মধ্যে কিছু খেলা, কৌতুক, মজা,তামাশা,মস্করা থাকা উচিত। তাহলে একঘেয়েমী এসে তোমাকে ক্লান্ত করতে পারবে না। আইনস্টাইন কিন্তু একজন দক্ষ বেহালা বাদকও ছিলেন !

সুখী, পরিপূর্ণ জীবন গঠনের জন্য আত্মিক বা পারমার্থিক উন্নতিও বিশেষ ভাবে প্রয়োজন। মনে রেখো,
“when financial solvency is ensured, spiritual bankruptcy is also ensured.” অর্থনৈতিক স্বয়ংসম্পূর্ণতা নিশ্চিত হলেই অনেক সময় আত্মিক দেউলিয়াত্বও নিশ্চিত হয়ে যায়। আর আত্মিক দেউলিয়াত্ব কেড়ে নেয় আমাদের সব সুখ শান্তি, আমাদের সেই স্বপ্ন যার পিছনে ছুটে আমরা বহু সাধনায় পৌঁছলাম শীর্ষে কিন্তু মঞ্জিলে পৌঁছে পার্থিব আয়োজনাদি নাগালে এলেও ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যায় অপার্থিব সেই আনন্দ যার জন্য আমাদের যাত্রা শুরু হয়েছিল কোনো এক শুভ আরতি লগ্নে ইমন-কল্যানের আবহে।

ব্যাক্তিগত উন্নতির জন্য তুমি সব কিছুতেই প্রয়োজনীয় সময় দিচ্ছ সেটা নিশ্চিত করো।

“Happiness comes from spiritual wealth, not material wealth… Happiness comes from giving, not getting. If we try hard to bring happiness to others, we cannot stop it from coming to us also. To get joy, we must give it, and to keep joy, we must scatter it.”-John Templeton

Categories: Uncategorized

0 Comments

Leave a Reply

Avatar placeholder

Your email address will not be published. Required fields are marked *