দুই ধরণের মানুষ পেশাজীবনে উন্নতি লাভ করতে পারে না।
১) যারা ততটুকুই করে যতটুকু করতে বলা হয়।
২) যারা ততটুকুও করে না যতটুকু করতে বলা হয়।
তাহলে ?
বলা দুষ্কর কোনটা বেশি হতাশাব্যঞ্জক। এক চাকুরী থেকে অন্যটায় ঘুরপাক খাওয়া, কারণ তোমারই হবে প্রথম শিরোচ্ছেদ অথবা একই জায়গায় একঘেঁয়ে ঘুরপাক খাওয়া
প্রথমটা যা বলা হয়েছে শুধু তাই করার ফল, দ্বিতীয়টা যা বলা হয় তাও না করার ফল।
যে কোনোটাই অবলম্বন করে কিছুদিন চলতে পারে কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে কারাবাস! পেশাজীবনে স্বপ্ন পূরণ হবে না।
প্রাথমিক শিল্পযুগের তুলনায় বর্তমানের high tech সমৃদ্ধ কর্মজীবনে মান্ধাতার আমলের চিন্তাধারা নিয়ে বেশিদূর যাওয়া যাবে না। সেই যুগে আদেশ পালন করাই ছিল অন্যতম যোগ্যতা।
Technologyর কারণে অনেক সুপারভাইসরি পদ লুপ্ত বা অচল হওয়ার কারণে অনেকের কাছে প্রত্যাশা করা হয় স্বল্প সম্পদের দ্বারা অধিক ফল উৎপাদন, কি করতে হবে তার সিদ্ধান্ত নেওয়া , এবং সে অনুযায়ী কাজটা করা।
কারো নির্দেশের অপেক্ষায় বসে থেকো না। নিজের প্রতিষ্ঠানটাকে এমনভাবে চিনে নাও যে তুমি অনুমান করতে পারবে কি করতে হবে এবং তা করা শুরু করে দাও।
সংস্কৃতে একটা শ্লোক আছে :
“উদযোগিনং পূরুষসিংহ উপৈতে লক্ষী।”
একমাত্র উদ্যোগী ব্যাক্তির কাছেই লক্ষী (ধন-মান ) ধরা দেয়।
সুতরাং ওই দুই রকমের না হয়ে তৃতীয় ধারার হয়ে কারো বলার অপেক্ষা না করে কাজ শুরু করে দাও।
0 Comments