হজরত আদম (আঃ) বেহেস্ত থেকে সরাসরি আসেন শ্রীলংকায় যা একসময় ছিল ভারতের অংশ। প্রমাণ, রামায়ন। তাহলে ভারতের প্রথম মানুষ তথা দুনিয়ার প্রথম মানুষ ছিলেন একজন মুসলমান। জগতের দস্যুরা ভারতকে লুণ্ঠনই করেছে কিন্তু কেউই ভারতকে নিজেদের আবাস হিসেবে গ্রহণ করে নাই। শক-হুন-পাঠান-ডাচ-ফ্রেঞ্চ-ইংরেজ সহ সবাই ভারত লুঠ করেছে। তৈমুর লং, নাদির শাহ পর্যন্ত সম্পদ লুঠ করেছে এখানে স্থায়ী হয় নাই। সুলতানরা ও মোঘলরা এদেশকে নিজের দেশ মনে করে শত শত বৎসর ধরে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে বসবাস করেছে। এদেশের প্রভুত উন্নতি করেছে বিধায় পৃথিবী ভারতের অনেক অমর কীর্তি দেখে বিস্ময়ে বিহ্বল হয়। এরা এসেছিলেন আভ্যন্তরীণ কন্দলের কারণে, এখান থেকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য। কিন্তু আজকে মুসলমানদেরকে ঘর ছাড়া করা হচ্ছে। মুসলিম বিরোধী "ওয়াকফ" আইন করে মুসলমানদের পায়ের নীচের মাটি সরায়ে ফেলা হচ্ছে। সেই সুলতানি, মুঘল সময়ের শাসকরা চাইলে এদেশে একটাও অন্য ধর্মের লোক থাকতো না।
"আজকে মুসলমানদেরকে ঘর ছাড়া করা হচ্ছে। অথচ, সেই সুলতানি বা মুঘল শাসকরা চাইলে এদেশে একটাও অন্য ধর্মের লোক থাকতো না।'
- Nazar E Zilani
ভারতীয় উপমহাদেশের সাথে ইসলামের সম্পর্ক অনেক অনেক গভীর এবং অদ্বিতীয়।
পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলায় থমকে গেলো ভারতের মুসলিম বিরোধী "ওয়াকফ" আইনের বিরুদ্ধের উত্তপ্ত আলোচনা। যে আইনের মাধ্যমে মুসলমানদেরকে ভিটে ছাড়া করার সূক্ষ্ম চক্রান্ত চলছে দীর্ঘকাল ধরে।
জগতের দস্যুরা ভারতকে লুণ্ঠনই করেছে কিন্তু কেউই ভারতকে নিজেদের আবাস হিসেবে গ্রহণ করে নাই।
শক-হুন-পাঠান-ডাচ-ফ্রেঞ্চ-ইংরেজ সহ সবাই ভারত লুঠ করেছে। তৈমুর লং, নাদির শাহ পর্যন্ত সম্পদ লুঠ করেছে এখানে স্থায়ী হয় নাই।
সুলতানরা ও মোঘলরা এদেশকে নিজের দেশ মনে করে শত শত বৎসর ধরে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে বসবাস করেছে। এদেশের প্রভুত উন্নতি করেছে বিধায় পৃথিবী ভারতের অনেক অমর কীর্তি দেখে বিস্ময়ে বিহ্বল হয়।
এরা এসেছিলেন আভ্যন্তরীণ কন্দলের কারণে, এখান থেকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য।
কিন্তু আজকে মুসলমানদেরকে ঘর ছাড়া করা হচ্ছে। অথচ, সেই সময়ের শাসকরা চাইলে এদেশে একটাও অন্য ধর্মের লোক থাকতো না।
ভারতীয় রেল ও বিমান বাহিনীর পরই সবচেয়ে বেশী "ওয়াকফ" সম্পত্তি মুসলমানদের! এবার সেখানে হাত দেওয়া হয়েছে যা এক গভীর চক্রান্তের সামান্য বহিঃপ্রকাশ মাত্র।
ইসলামের সাথে ভারতের নিবিড় সম্পর্ক কীভাবে?
১। হজরত আদম (আঃ) বেহেস্ত থেকে প্রথম আসেন "স্মরণ দ্বীপে" যাকে সিংহল বা শ্রীলংকা বলে জানি আমরা। শ্রীলঙ্কাকে এক সময়ে ভারতের অংশ বিবেচনা করা হতো। রামায়ন তার উদাহরণ।
২। হজরত আদম (আঃ) জান্নাত থেকে একটা জান্নাতি পাথর সাথে নিয়ে শ্রিলংকায় আসেন যা আমরা "হজরে আসওয়াদ" বলে জানি।
৩। হজরত জিবরাইল (আঃ) আল্লাহ্র পক্ষ থেকে দিক নির্দেশনা নিয়ে আসেন তা এই ভারতীয় উপমহাদেশেই। (৪, ৫, ৬, ইত্যাদি পয়েন্ট গুলো'র জন্য ভিডিওর লিঙ্ক নীচে।)
"গাজুয়াতুল হিন্দ" নিয়ে আজকাল অনেক আলোচনা হচ্ছে।
আসলে ইসলামের সাথে ভারতীয় উপমহাদের এক নিবিড় সম্পর্ক আছে।
"বদর" থেকে শুরু হয়ে "গাজুয়াতুল হিন্দ" পর্যন্ত এসে আল্লাহর ওয়াদা এবং আল্লাহ্র নবী (সাঃ) 'এর ওয়াদা পূর্ণ হওয়ার বিবরণ এর প্রমাণ।
আবু জেহেল আবু লাহাব, উতবা, শায়বা 'রা যেভাবে সত্য জানার পরও নবী করিম (সাঃ) দাওয়াত কবুল করে নি তেমনই ভারতের অনেকে ইসলামের ছায়াতলে এলেও অনেকে ইসলামকে সত্য জেনেও ইগো'র কারণে ইসলামের বিরোধিতা করে যাচ্ছে।
বিরোধীতা করবে এটাই ঠিক কারণ আল্লাহ চাইলে সবাইকে মুসলমান বানাতে পারতেন বা হেদায়েত দিতে পারতেন কিন্তু দেন নাই। ৯সুরা ইউনুস, আয়াত ৯৯)
সুতরাং কে ইসলাম পছন্দ করলো না সেটা নিয়ে আমাদের উৎকণ্ঠিত হওয়ার চেয়ে সঠিক কাজ হচ্ছে নিজে ইসলামের আদেশ নিষেধের পাবন্দি করা এবং অন্যের কাছে ওহদানিয়াতের মেসেজ তুলে ধরা।
কেউ না মানলে দুঃখিত না হওয়ার জন্য আল্লাহ বলেনঃ
وَمَا عَلَیۡنَاۤ اِلَّا الۡبَلٰغُ الۡمُبِیۡنُ
অর্থাৎ, আর আমাদের দায়িত্ব তো কেবল স্পষ্টভাবে বার্তা পৌঁছিয়ে দেওয়া।
দাওয়াত পৌঁছানোর পর আর আহাজারি করার দরকার নেই। বাকিটা আল্লাহ্র মর্জি। তবে, দাওয়াতটা হেকমতের সাথে দিতে হবে।
(পুরো ভিডিও নীচের লিঙ্কে।)
https://shorturl.at/dCGjH