রমজানুল মুবারক!
গত রমজান থেকে আল্লাহ্ সুবহনাল্লাহতায়ালা আমাদেরকে এই রমজান পর্যন্ত হায়াত দারাজ করেছেন এর জন্য আল্লাহ্র দরবারে শুকরিয়া।
ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের সাথে অপরাধ প্রবণতা যদি ‘লিনিয়ার’ হয় বা আনুপাতিক হারে বাড়ে তাহলে বুঝতে হবে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান ও শিক্ষার মধ্যে গলদ আছে।
আমার ক্ষুদ্র দৃষ্টিতে সমস্যাটার মুলে রয়েছে খুশু খুজুর সাথে, তাওয়াক্কুলের সাথে আমল না করা। এলেম যার থাকে তাকে আলেম বলা যায়, যেমন জ্ঞান থাকে জ্ঞানী বলা যায়। কিন্তু সেই জ্ঞান যা বলে সেই অনুযায়ী আমল বা কর্ম না করলে ঐ জ্ঞানের কোন মুল্যই নেই বরং জ্ঞান থেকে সে অনুযায়ী নিজে আমল না করা ও অন্যকে আমল করতে উৎসাহী না করার অপরাধে কাল কেয়ামতের মাঠে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
সফলতার নিক্তি ইহ-পারলৌকিক সফলতা ছাড়া দ্বিতীয়টা আর নেই, আজ কাল পরশু কোন একদিন মানতেই হবে। বিকল্প একমাত্র জাহান্নাম!!বাঙালি মুসলমান হিসেবে আরবি ভাষা আমাদের জন্য একটা প্রতিবন্ধকতা এটা প্রকট সত্য।
তবে ইহকালিন ও পরকালিন জীবন সুন্দর করার জন্য যে জ্ঞান অত্যাবশ্যকীয় সে জ্ঞান আহরণ না করা বোকামির লক্ষ্মণ। পেশা জীবনের জন্য আমরা Excel, Power Point, Graphics , Artificial Intelligence, Robotics, Internet of Things (IOT), Blockchain ইত্যাদি শেখার জন্য হন্যে হয়ে যাই কিন্তু দিনের শেষের শান্তি সফলতা ও ইহজীবনের শেষের অনন্ত জীবনের অন্তহীন শান্তির জন্য আমরা সে ভাষা, সে জ্ঞান অর্জন করতে বিমুখ অথচ পবিত্র কোরানের প্রথম শব্দ, প্রথম আয়াতেই ছিল জ্ঞান অর্জনের তাগিত। “একরা বে এসমে রব্বেকাললাজি খালাক……” পড়ো সেই প্রভুর নামে যে তোমাকে সৃষ্টি করেছেন…।
আমরা জানি কিন্তু পড়ি না। আমলনামা কণ্ঠহার হয়ে ঝুলছে। কাল কেয়ামতের মাঠে খোলা বই ধরিয়ে দেয়া হবে পড়ার জন্য। সেখানে নিখুঁতভাবে লেখা থাকবে জীবনের সমস্ত টুকরো টুকরো কর্ম থেকে শুরু করে সব কিছু। দুনিয়ার Appraisal ‘এর জন্য কাঙাল আমাদের সেদিনের হাল কি হবে ভেবে দেখার লগ্ন এখনই।
0 Comments