বাবা-ছেলের স্মৃতি-১

এ লেখায় সন্তানের সামগ্রিক অর্জনে গর্বিত পিতার কিছু বিনম্র প্রকাশ থাকবে।

ডিজিটাল প্লাটফর্মে আমার লেখা ও ভিডিও ছাড়া নিজের বা পারিবারিক কোনো কিছুই থাকে না।প্রফেশনালি হয়তো কারো কাজে লাগবে তাই লিখছি।

সফটওয়্যার ইন্জিনিয়ার হিসেবে ছেলের প্রথম চাকরির সময়ে তার প্রতি আমার এই উপদেশ ছিলঃ

১। প্রতিষ্ঠান বসতে চেয়ার, বেঞ্চ, মোড়া, পিড়ি, খেজুরের পাটি যা-ই দিক সেদিকে তাকায়ো না। শুধু কাজ শিখে নিজেকে তৈরী করো।Simply add value to yourself and prepare for newer heights.

২। ভিজিটিং কার্ডে কি Designation দিবে তার দিকে ভ্রুক্ষেপ করো না। কাজ করে যাও। নিজের কাজ শেষ হলে অন্য সহকর্মীদের কাজে সহায়তা করো।

নিজেকে কাজে, সততায়, টিম প্লেয়ার হিসেবে, বিশ্বস্ততায়, আনুগত্যে, সম্ভাবনাময় কর্মী হিসেবে গড়ে তোলো।Try to be an honest, team player, skilled, dedicated and potential candidate.

৩। কত টাকা বেতন দিচ্ছে তা ভাবতে যেয়ো না।

তুমি প্রতিষ্ঠানের Liability. Asset না। প্রতিষ্ঠান তোমার পিছনে টাকা ঢালছে এজন্য যে একসময়ে তুমি প্রতিষ্ঠানের সম্পদে পরিণত হবে।

তোমার পরিচয় তুমি Employed. তুমি বেকার না।

প্রতিষ্ঠান তোমাকে তোমার যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগ করে দিয়েছে। সুযোগ কাজে লাগাও। সবাই তোমার সব কিছু হরণ করলেও তোমার জ্ঞান, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা নিতে পারবে না। এটা Transferrable Skill না। “ন হন্যতে”।

তুমি প্রতিষ্ঠানের সম্পদ না হওয়া পরযন্ত বা তোমার কাজ শেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য প্রতি মাসে তোমার প্রতিষ্ঠানকে আমি উলটো ১৫-২০,০০০ টাকা দিতে রাজী কারণ এখন বেতন নিয়ে বারগেইন করার সময় না, সময় এখন কাজ শিখে নিজেকে অটল হিমাদ্রীর মতো গড়ে তোলা।

Now is not the time to bargain for money. Now is the time to utilize the scope to build your strength and grab the unlimited potential future.

কাজ শিখে সে এমন ভাবে নিজেকে পেশাগতভাবে ও মূল্যবোধের যায়গায় তৈরি করেছে যে কয়েক বৎসরের মধ্যে একটা সনামধন্য বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে চাকরি নিয়ে দেশের বাইরে চলে গেছে।

প্রতিনিয়ত তার পেশাগত সাফল্যের খবর শুনে আনন্দাশ্রুতে চোখ টলমল করে।

পিছনের অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ সে ভোলে নাই।

এবার ওর বাসায় কয়েকদিন তুরীয়ানন্দে কাটালাম। Life এর পারপাস, উপলব্ধি ও অনুভব আমাদের একই। সফলতার পরিচয় আমাদের কাছে শুধুই অর্থ না। আরো বৃহত্তর!

বেশ কয়েকবার উপাস্থাপক আমার ছেলেকে দেয়া পরামর্শ আবার বলার জন্য অনুরোধ করেছেন। এ অর্জন তোমার আব্বা, আমার না।

“শেষ জয়ে যেন হয় সে বিজয়ী, তোমারি কাছেতে হারিয়া….”

Categories: Career Growth

0 Comments

Leave a Reply

Avatar placeholder

Your email address will not be published. Required fields are marked *