আগের পোস্ট-এর পরের অংশ)
আজ মহা সপ্তমী।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পুরাণ অনুযায়ী দুর্গতিনাশিনী দেবী দূর্গা তাঁর ৪ সন্তান: লক্ষী, স্বরস্বতী, কার্তিক ও গণেশকে সাথে নিয়ে কৈলাশ থেকে পিত্রালয়ে এসেছেন।
মহালয়ার মধ্য দিয়ে দেবী পক্ষের শুরু। সব দুঃখ যন্ত্রনা থেকে মুক্তির জন্য “তর্পণের” উপযুক্ত এই দিন। আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে আবাহন গীত গেয়ে দেবীকে বরণ করে হয় মহাষষ্ঠীতে।
আমরা স্মৃতিকাতর বাঙালীরা মহালয়া বললেই অশ্বিনের অমাবস্যায় আমাদের মানসপটে ভেসে উঠে শ্রী বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের নাম যিনি মহালয়া রচনা করেন ও কণ্ঠ দিয়ে দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গার মর্ত্যে আগমনকে অবিস্মরণীয় করে রেখেছেন।
দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গার হস্তধৃত ১০ অস্ত্রের নাম বলেছি গতকাল। আজ প্রতিটা অস্ত্রের দাতা দেবতা ও অস্ত্রের পিছনের নিগূঢ় তত্ত্ব সংক্ষেপে বর্ণনা করবো।
১.ত্রিশূল: ত্রিগুণ যথা স্বতঃ, রজঃ ও তমঃ এই তিন গুণের প্রতিনিধিত্ব করে। দাতা দেবতা শিব
২.সুদর্শণ: সৃষ্টির কেন্দ্রকে প্রতিনিধিত্ব করে। দাতা দেবতা বিষ্ণু।
৩.বজ্র:চরিত্রের দৃঢ়তা, কঠিন সংকল্প ও শ্রেষ্ঠ ক্ষমতার প্রতিনিধিত্ব করে।দাতা দেবতা ইন্দ্র।
৪.শঙ্খ:সৃষ্টির আদি নাদ “ওঁম”- কে প্রতিনিধিত্ব করে।দাতা দেবতা বরুণ।
৫.খড়গ:বিদ্যা ও জ্ঞান-এর প্রতিনিধিত্ব করে।
৬.বর্শা:মঙ্গলময়তা,শুদ্ধতা ও অগ্নিবৎ শক্তির প্রতিনিধিত্ব করে। দাতা দেবতা অগ্নি ।
৭.তীর-ধনুক: শক্তির প্রতিনিধিত্ব করে।দাতা দেবতা বায়ূ।
৮.কুঠার: সৃষ্টি ও ধ্বংস অর্থাৎ বিশ্বকর্মার প্রতিনিধিত্ব করে।দাতা দেবতা বিশ্বকর্মা।
৯.পদ্ম:জ্ঞানের মাধ্যমে মুক্তি। ব্রহ্মা-র প্রতিনিধিত্ব করে।দাতা দেবতা ব্রহ্মা।
১০.ওহি:আত্মজ্ঞান ও শিবের পৌরুষের প্রতিনিধিত্ব করে। দাতা দেবতা শিব।
(চলবে)
0 Comments