(আগের পোস্ট-এর শেষাংশ)

দেবতা এবং অসুরদের মধ্যের যুদ্ধের একপর্যায়ে দেবী দুর্গার অসীম যুদ্ধ-ক্ষমতা প্রতিহত করতে ব্যর্থ হয়ে অসুর রাজ্ শুম্ভ দেবী দুর্গাকে বললেন, “তুমি গর্বিত রমণী আমার সাথে কঠিন যুদ্ধ করছো। কিন্তু তুমিতো আমাদের “একাকী” যুদ্ধ করার রণ-নীতি ভঙ্গ করছো। তোমারতো লজ্জিত হওয়া উচিৎ। “

উত্তরে দেবী দূর্গা বললেন,”শোনো অসুর!,তোমারতো শাশ্বতের কোনো ধারণাই নাই। সমগ্র মহাবিশ্বে আমি এক এবং একমাত্র শাশ্বত, আমি ছাড়া অন্যদের কোনো অস্তিত্ব নাই।” সমস্ত দেবীগণ দুর্গায় একীভূত হয়ে একমাত্র দূর্গা-তে সার্বজনীন সৃজনশীল শক্তিতে রূপান্তরিত হন। দুর্গতি-নাশিনী দূর্গা।

যুদ্ধে অসুরদের পরাজয় হয় এবং দেবতারা স্বর্গে স্থিতু হন।

অসুরদের পরাজয় আসলে ভোগবাদী দর্শনের পরাজয়। যজ্ঞে ঘৃতাহুতির মতো দৈহিক ভোগে যত আহুতি দেওয়া হয় কামনা-শিখা আরো তীব্র ভাবে জ্বলে ওঠে এবং আরো ভোগে উন্মত্ত হতে প্রলুব্ধ করে। পশ্চিমা ধনতান্ত্রিক সমাজ ব্যাবস্থার, ভোগবাদী নগ্ন-মানসিকতার ক্রমঃঅধপতনের, জীবনের অস্থিরতার, ব্যার্থতার মধ্যেই দেখা যায় ভোগবাদের পরিণতি। ভোগের এতো আয়োজনের পরও সেই “প্রমোদে ঢালিয়া দিনু প্রাণ, তবু মন কেন কাঁদেরে”-র মতো অবস্থা।

দেবীর হস্ত- ধৃত দশ অস্ত্র। দেবী অষ্ট (৮) শক্তি দ্বারা পরিবেষ্টিত। দেবী প্রতিমা গড়তে ১০ প্রকার মাটির প্রয়োজন। দেবীর মহা-স্নানের জন্য ১০ প্রকারের জলের প্রয়োজন। দূর্গা পূজায় দেবীর ১৪ খানা শাড়ির প্রয়োজন। (শেষাংশ পরের পোস্ট-এ)

Categories: Uncategorized

0 Comments

Leave a Reply

Avatar placeholder

Your email address will not be published. Required fields are marked *