ইবলিশের Ego’র কারণ ছিল উভয়ের সৃষ্টি উপাদানের বাহ্যিক শ্রেষ্ঠত্ব ভাবনায়। ‘আমি আগুনের তৈরী আর আদম মাটির তৈরী’, সুতরাং আমি ফেরেশতাদের সর্দার হয়ে আদমকে সেজদা করবো কেন?
বোকা ইবলিশ হজরত আদমের সৃষ্টি রহস্য বুঝতে পারে নাই তাই দেমাগী হয়ে আল্লার আদেশকে প্রত্যাখ্যান করে জন্য অভিশপ্ত করে তোলে।
হজরত আদমের সৃষ্টি রহস্য :
পৃথিবীতে প্রতিনিধি পাঠানোর ইচ্ছা প্রকাশের পর আল্লাহ ফেরেশতাদেরকে মাটি নিয়ে আসার জন্য বলেন কিন্তু কোনো ফেরেস্তাই মাটি নিতে পারে নাই। শেষ পর্যন্ত আল্লাহ হজরত আজরাইল আলাহিসসালাম কে পাঠালে তিনি মাটি সংগ্রহ করে নিয়ে আসেন। এজন্য আল্লাহ হজরত আজরাইল আলাহিসসালাম কে রূহ কবজ করার দায়িত্ব দিয়েছেন।
হজরত আব্দুল্লা ইব্ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, আল্লাহ হজরত আদম(আঃ)-এর মস্তক বায়তুল মুকাদ্দাসের মাটি দিয়ে সৃষ্টি করেন এজন্যে মাথা জ্ঞান বুদ্ধি ও চিন্তার জায়গা।
মুখ বেহেশতের মাটি দিয়ে সৃষ্টি করেন এজন্যে মুখ সুন্দর ও লাবণ্যময়।
দাঁত হাউজে কাউসারের মাটি দিয়ে সৃষ্টি করেন এজন্যে এটা স্বাদের স্থান।
চোখ হাউজে কাউসারের মাটি দিয়ে সৃষ্টি করেন।
ডান হাত কাবার মাটি দিয়ে সৃষ্টি করেন এজন্যে এটা সাহায্যের উপকরণ।
বাম হাত পারস্যের, হাড় পাহাড়ের মাটি দিয়ে সৃষ্টি করেন ।
পার্শ্বদেশ, পেট ও পিঠ ইরাকের মাটি দিয়ে সৃষ্টি করেন এজন্যে উহা শক্তি ও সামর্থ্যের উৎস।
অন্তঃকরণ ফেরদাউসের মাটি দিয়ে সৃষ্টি করেন এজন্যে উহা বিশ্বাস ও ঈমানের আধার।
এবং জিহ্বা তায়েফের মাটি দিয়ে তৈরী করেন মাটি দিয়ে সৃষ্টি করেন এজন্যে জিহ্বা সাক্ষ্য দেয়ার মাধ্যম।
আব, আতশ, খাক, ও বাত অর্থাৎ আগুন, পানি, মাটি, ও বাতাস এই চার জাহেরী উপাদান এবং ‘রূহ ফুঁকে দেয়া’ রূপ বাতেনী উপাদানে আদম তৈরী।
প্রত্যেকটি জাহেরী উপাদানের অন্তর্নিহিত গুণাবলী বিশেষ করে ‘ফুঁকে দেওয়া’ রুহের গুণাবলীর মধ্যেই ছিল আদমকে তৈরির নিগুড় রহস্য। এলমে লাদুন্নীর অভাবে ইবলিশ তা বুঝতে না পেরে অহমিকায় আদমকে সেজদা করতে অস্বীকৃতি জানায়।
আব, আতশ, খাক, ও বাত, ‘রূহ’ এবং নূরে মোহাম্মদীর সমন্বয়ে যে এক অতুলনীয় আদম তৈরী হয় তা মাথার জ্ঞান ও পদাধিকার বলে উপলব্ধি করা সম্ভব নয়। এ বিষয়ে পরবর্তী পোস্ট এ আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ। (চলবে )
1 Comment
Khondoker Sowkot Ali · February 12, 2020 at 5:42 pm
আদম আ::কে আল্লাহ্ শ্রীলঙ্কায় পাঠিয়েছেন বলে জানতাম ।