মসজিদে দান।
প্রতি জুম্মায় আমরা মসজিদের দান বাক্সে কিছু টাকা সামর্থ্য অনুযায়ী দান করতাম।
এই টাকায় মসজিদের খাদেম, মুয়াজ্জিন, ইমাম সহ মসজিদের ব্যায় বহন ও উন্নয়নের কাজ হতো।

করোনার কারণে নিয়মিত জামাত ও জুম্মা না হওয়াতে মসজিদের খরচ হয়তো কিছু কমেছে, মসজিদের উন্নয়ণ কাজ না হয় কিছুদিন পরে হলেও হয়তো ক্ষতি নেই।
কিন্ত যে মানুষগুলো মসজিদের এই উপার্জনের উপর নির্ভরশীল ছিল তারা এক দুর্বিষহ সময় পার করছে।

আসছে পবিত্র রমজান। এই মাসে মসজিদের খাদেম, মুয়াজ্জিন, ইমাম সাহেবরা ইফতার,রাতের খাবার ও সেহরির জন্য পার্শবর্তী লোকালয় থেকে সবার স্বতঃস্ফূর্ত মেহমানদারী পেতেন। জাকাতের বাইরে থেকে নানা রকম সাদাকা, উপঢৌকন পেতেন। বৎসরের এই সময়টাই ইবাদত ও উৎসবমুখরতার জন্য তাঁদের একমাত্র আনন্দ আর প্রত্যাশার ছিল। কিন্ত করোনার জন্য সে পথ রুদ্ধ।

আমার মনে হয় আমরা প্রতি জুম্মায় যে টাকাটা মসজিদে দান করতাম তা যদি জমা করে রেখে লকডাউন উঠে গেলে একসাথে মসজিদে দান করি তাহলে ওই মানুষগুলো অনেক উপকৃত হবে। উদাহরণ: ১০০ টাকা প্রতি জুম্মার দিনে মসজিদে দান করলে এক মাসে চার জুম্মায় ৪০০ টাকা দান বাক্সের জন্য জমা থাকলো।

যারা সম্মত তারা এটুকু করলেও অনেক উপকার হবে ওই অসহায় মানুষদের জন্য।
এটা একান্তই আমার ব্যাক্তিগত চিন্তা। যারা আমার সাথে একমত তাঁরা এটা ভেবে দেখতে পারেন। যাঁরা একমত না তাদেরকে আমি এই প্রস্তাব দিচ্ছি না।

আমার এই প্রস্তাব পছন্দ হলে যারা আমার ফেইসবুক ফ্রেন্ড হিসেবে আছেন তাদেরকে আমি এই পোস্টটা শেয়ার করতে অনুরোধ করবো কারণ বেশি মানুষের মধ্যে প্রচার করলে যদি একটা সম্প্রদায়ের মানুষের উপকার হয় সেটাই হবে অন্তরালে থেকেও মানুষের জন্য কিছু করা।

“কে সেই ব্যাক্তি, যে আল্লাহ কে উত্তম ধার দিবে, এর পর তিনি তার জন্যে তা বহুগুণ বৃদ্ধি করবেন এবং তার জন্যে রয়েছে সম্মানিত পুরস্কার “- সূরা হাদীদ, আয়াত ১১

অন্যান্য ধর্মাবলম্বিরাও তাদের মতো করে তাঁদের ধর্ম প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত মানুষদের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়াতে পারেন।

Categories: Uncategorized

0 Comments

Leave a Reply

Avatar placeholder

Your email address will not be published. Required fields are marked *