খুব ছোট্ট বেলায় আমার বাবা আমাকে  ওমর খৈয়্যাম-এর একটা রুবায়াৎ শিখায়েছিলেন:

“আমার কাছে শোন উপদেশ, কাউকে কভূ বলিসনে

মিথ্যে ধরায় কাউকে প্রাণের বন্ধু মেনে চলিসনে।

দুঃখ ব্যাথায় টলিসনে তুই

খুজিসনে তার প্রতিশোধ। 

শির উঁচু রাখ

ঢলিশনে। ” 

জীবন যুদ্ধে প্রানান্ত প্রচেষ্টায় যখন স্নায়ুতন্ত্র টনটনে,তখন অনেক মানুষই তোমার সমালোচনায় মুখর হয়ে উঠবে।

কানে তুলা দাও। মানুষের কথা শোনা বন্ধ করো।

তোমার যখন ত্রাহি অবস্থা তখনতো কেউই আগায়ে আসেনি সান্তনার, উৎসাহের স্তোত্র নিয়ে।  তাহলে এখন কেন তাদের কথা শুনতে যেয়ে তোমার মনোযোগ নষ্ট করবা ?

একটা বাংলা প্রবাদ আছে, “ভাত দেয়ার ভাতার না, কিল মারার গোসাই !!” লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে চলো অবিচল।

বিজয়ীর সময় কোথায় পরাজিতের কান্না শোনার ?

তোমার সম্পর্কে অন্যের চিন্তা ভাবনা ততক্ষনই গুরুত্বপূর্ণ যতক্ষণ পর্যন্তু তোমার  নিজের চিন্তা ভাবনার সাথে তা মিলে যাবে।

যদি তুমি অন্যের দ্বারা একজন Positive person হিসেবে স্বীকৃত হও ,যারা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে সর্বত্র , তোমার চাহিদা সর্বত্রই থাকবে কারণ কোনো প্রতিষ্ঠানে এরকম মানুষের সংখ্যা খুব বেশি না।

তোমার সহকর্মীরা তোমাকে যথার্থ মূল্যায়ন করবে, তোমার ক্রেতারা তোমাকে প্রশংসা করবে , তোমার উর্ধতন কর্মকর্তা তোমার কাজের স্বীকৃতি দেবে ও পুরস্কৃত করবে যদি তুমি তোমার অবস্থান নিষ্ঠার সাথে ধরে রাখো।

তুমি রাতারাতি সফল নাও হতে পারো তবে তাৎক্ষণিকভাবে তুমি ভূপাতিত হবেনা বা স্থায়ী ভাবেও স্থবির হবে না।

Positive Mental Attitude নিয়ে একটু দায়িত্বের অতিরিক্ত করার চেষ্টা করো (going the extra mile).

কর্মফলে ফলভারানতো সফল শাখায়  দুলবে তোমার বিজয়ের  পতাকা

Categories: Uncategorized

0 Comments

Leave a Reply

Avatar placeholder

Your email address will not be published. Required fields are marked *