Positive Character Trait এর উপর নির্মিত শক্ত ভিত ছাড়া কোনো অর্জনই টেকসই হয় না।
যে ধূর্ত অর্জনগুলোর কথা বলে অনেকে আফ্সোস করে, সেগুলো আসলে স্থায়ী হয় না। মহাকাল তা গ্রাস করে। সোনার ধান আর তরী দুইটাই বানের জলে ভেসে যায়।
আমরা মানুষেরা বড়ো অস্থির। নিজের চোখে, নিজের জীবদ্দশায় সবকিছুর বিচার দেখতে উদগ্রীব হয়ে থাকি।
মহাকালের তুলনায় আমাদের অবস্থান যে কত নগণ্য তা যদি অনুভব করতাম তাহলে অস্থির হতাম না।
একটা ছায়াপথে ৪০০ বিলিয়ন পর্যন্ত নক্ষত্র থাকে। ছায়াপথের সংখ্যা কত বিলিয়ন তা কেউ বলতে পারে না। আমাদের নিকটবর্তী ছায়াপথ Andromeda-র ক্ষুদ্রতম নক্ষত্র হচ্ছে সূর্য্য। আর এই সূর্য্যকে ঘিরে যে জগৎ সেটাই আমাদের সৌরজগৎ। সেই জগতের পৃথিবী নামক গ্রহের বাংলাদেশ-এর নানা জায়গায় আমরা থাকি। একবার কল্পনা করোতো মহাকালের প্রেক্ষাপটে “কীটাণুকীটের” কোন জায়গায় আমাদের অবস্থান ?
তাহলে অস্থির হওয়ার কি আছে ?
নিষ্ঠা আর একাগ্রতায় নিজের একটা চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য তৈরী করো “বিলম্বিত ত্রিতালে। ”
ভালো চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য নকল করা আসলেই অসম্ভব। ধোকাবাজরা দ্রুতই ধরা পড়ে, কারণ হেয়ালি বা প্রহেলিকা প্রলম্বিত করার সারবত্তা বা সাহস তাদের থাকে না।
ভালো চারিত্রিক বৈশিষ্ট অর্জনের শুরু একটা Positive Attitude থেকে।
একজন ভালো ভদ্র আর সৎ মানুষ হওয়ার অঙ্কুরোদ্গম তোমার মানস-সরোবরেই হয়। একজন ভালো মানুষ হওয়ার সদিচ্ছা যখন তোমার মনে জাগ্রত হবে তখন থেকেই ভালো কাজ করার তাগিদ ভিতর থেকে অনুভব করবে।
তখন অতুল প্রসাদ সেন -এর মতো গেয়ে উঠতে পারবে:
“সবার বাসরে ভালো নইলে মনের কালো ঘুচবে নারে
আছে তোর যাহা ভালো ফুলের মতো দে সবারে। “
0 Comments