Reduce, Reuse and Recycle.

গতকাল ভোগবাদের উপর লেখায় কেউ কেউ এর থেকে পরিত্রানের উপায় জানতে চেয়েছেন।

প্রথম পদক্ষেপ হওয়া উচিৎ অপ্রয়োজনীয় ভোগের পরিমাণ কমায়ে দেওয়া।

দ্বিতীয় উপায় হতে পারে অধিক সময় ব্যবহারযোগ্য বস্তুর ব্যবহার প্রলম্বিত করার চেষ্টা করা।

তৃতীয় পন্থা হতে পারে কিছু বস্তুর ব্যবহারের পর তা দিয়ে পুনরায় ব্যবহারযোগ্য কিছু তৈরি করে তা ব্যবহার করা।

ভোগবাদ এড়ানোর পন্থাঃ
১। যতদূর সম্ভব বাজার এড়িয়ে চলা। অপ্রয়োজনে বাজারে গেলে কিছু না কিছু শেষ পর্যন্ত কেনা হয়ে যায়!

২। টেলিভিশনে বিজ্ঞাপন কম দেখা। বিজ্ঞাপন মনকে উদ্দীপ্ত করে কেনার বাসনা জাগায়।

৩। বন্ধু নির্বাচনে সতর্ক হওয়া। বেহিসাবি বন্ধুর খপ্পরে পড়লে পকেট বিধবাই হবে।

৪। কেনাকাটার নিদিষ্ট তালিকায় অটল থাকা।

৫। কিছু জিনিস কেনাকাটা করতে অপেক্ষা করা।

৬। সম্ভব হলে নিজে উৎপাদক হওয়া (যদিও সবকিছুর উৎপাদক হওয়া যাবে না)

৭। সাদাকা করা। সাদাকা বালা মুসিবত থেকে রক্ষা করে।

৮। পরবর্তী জীবনের জন্য সঞ্চয় করা। ইহকালে পরের সময়ের জন্য সঞ্চয় করা। আর পরকালের জন্য সাদাকা একধরনের সঞ্চয়।

অভাব-অনটন-দুঃখ-দুর্দশায় সবর করা বা ধৈর্য ধরা “দুঃসময়ের হক” আদায় করা। এই হক আদায় পারলৌকিক জীবনের সঞ্চয় হিসেবে কল্যাণ বয়ে আনবে।

“চিরপিপাসিত বাসনা বেদনা
বাঁচাও তাহারে মারিয়া।
শেষ জয়ে যেন হয় সে বিজয়ী
তোমারি কাছেতে হারিয়া।”-রবীন্দ্রনাথ

Categories: Uncategorized

0 Comments

Leave a Reply

Avatar placeholder

Your email address will not be published. Required fields are marked *