বলে হয়ে থাকে যে একসাথে তোমার দুটো কাজ করা উচিৎ : ১) বর্তমান পদে যে কাজটা করছো ২) জীবনের লক্ষ্য হিসেবে যে কাজটা করতে চাও।

অর্থাৎ বর্তমান কাজের ঠাস-বুননের মাঝে ঘুমিয়ে আছে তোমার স্বপ্নের সেই কাজ। তাহলে বর্তমানের কাজটা কত তীব্র আকর্ষণ আর নিপূণ যত্নে করা উচিৎ! (posted on 03.11.22)

কারণ তুমিতো এই কাজের মধ্য দিয়ে অভিষ্ঠ কাজের কিনারায় পৌঁছবে। তুমিতো দক্ষতা গুলো অর্জন করছো যা বর্তমান কাজের দেয়াল ডিঙ্গায়ে পরবর্তী স্তরে নিয়ে যাবে তোমাকে।

এমনি করে একটা সময় আসবে যখন দক্ষতা আর যোগ্যতায় পরিপূর্ণ তুমি কাঙ্খিত স্বপ্নের জায়গায় বসবে অর্জিত গুণাবলীতে ভূষিত হয়ে।

একটা দক্ষতা অর্জনের পর আত্মতুষ্টিতে মুগ্ধ হয়ে বসে পড়ো না। দ্বিগুন উৎসাহে অন্য একটা দক্ষতা অর্জনের জন্য উঠেপড়ে লেগে যাও।

বর্তমানের ইকোনমি Knowledge-based-Economy. এখানে ‘দৈহিক সম্পত্তির’ চেয়ে ‘বৌদ্ধিক সম্পত্তি’ অনেক বেশী মূল্যবান ,আকর্ষণীয়। উন্নতি করতে গেলে ক্রমাগত শিখে যেতে হবে। বর্তমানের দ্রুত ধাবমান ও দ্রুত পরিবর্তনশীল স্রোতধারায় টিকে থাকতে গেলে নিয়ত নিমগ্ন থাকতে হবে নতুনতর দক্ষতা অর্জনে।

মহাকালের হাতে নিয়তি ছেড়ে দিওনা। বছর গড়ালেই বেতন বাড়বেনা আর প্রমোশন হবে না। যদি হয়ও, তা তোমার লক্ষ্যের সাথে, স্বপ্নের সাথে সাযুজ্যপূর্ণ হবেনা।

কঠিন সংগ্রামের ব্রতে ব্রতী হয়ে, কর্ম-প্রেমে আত্মহারা হয়ে উচ্চারণ করে ওঠো,

” আমারই চেতনার রঙে পান্না হলো সবুজ ,
চুনি উঠলো রাঙা হয়ে।
গোলাপের দিকে তাকিয়ে বললাম ‘সুন্দর’,
সুন্দর হলো সে।”


0 Comments

Leave a Reply

Avatar placeholder

Your email address will not be published. Required fields are marked *