সংস্কারের কথা বিয়ের অনুষ্ঠানেই হওয়া উচিৎ। সন্তানকে উপযুক্ত মানুষ করা এবং সমাজে সন্তানকে জালেম হিসেবে উপহার না দেওয়া। সমাজে পিতামাতা হবে দুই রকমেরঃ ১। এহসানকারী পিতামাতা ২। জালেম পিতামাতা। এর পর শিক্ষা থেকে শুরু করতে হবে সংস্কার। প্রচলিত শিক্ষা না ভালো নৈতিকতা সম্পন্ন মানুষ গড়ছে, না তারা ভালো চাকরী বা ব্যবসা করে সুখী হতে পারছে।
“তোমারে বধিবে যে, গোঁকুলে বাড়িছে সে।”
- Nazar E Zilani
সংস্কার নিয়ে এতো চিৎকার চেঁচামেচি হচ্ছে কিন্তু সত্যিকারের সংস্কারের যায়গায় তো কেউ কথা বলেন না!
বিবাহ করার সময়, বিবাহ করানোর সময় বা
বিবাহ পড়ানোর সময় তো বলা হয় না যেঃ
এই পবিত্র বিবাহের মাধ্যমে যে সন্তান জন্ম নেবে তাঁকে নীতি নৈতিকতা মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে তাহলেই সত্যিকারের পিতা-মাতা বলে বিবেচনা করা হবে।
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا قُوۡۤا اَنۡفُسَكُمۡ وَ اَهۡلِیۡكُمۡ نَارً
(সুরা আত তাহরিম, আয়াত-৬)
অর্থাৎ, হে মু’মিনগণ! তোমরা তোমাদের নিজেদেরকে আর তোমাদের পরিবার-পরিজনকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা কর
যারা নিজেদেরকে ইমানদার বা মুমিন হিসেবে প্রকাশ করি তাদের তো অন্তত উপরের নির্দেশ মানা উচিৎ।
সন্তান রাস্কেল বা বদমাশ হয়ে সমাজে উৎপাত করলে সেই পিতামাতাও জালেম হিসেবে সমাজে পরিচিত হবে।
সমাজে পিতামাতা হবেন দুই রকমেরঃ
১। এহসানকারী পিতামাতা এবং
২। জালেম পিতামাতা
সংস্কার করতে চাইলে শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে শুরু করতে হবে।
প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় অধিকাংশ ছেলেমেয়ে থেকে যাচ্ছে এহসানের আওতার বাইরে এবং
টাইম ও টাকা ব্যবহার করে তথাকথিত কাগুজে সার্টিফিকেট নিলেও না পাচ্ছে চাকরী আর না করতে পারছে ব্যবসা বানিজ্য।
নৈতিকতা ও মূল্যবোধকে অবজ্ঞাভরে দূরে ছুঁড়ে যাচ্ছেতাই জীবন যাপনের যে সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে তথাকথিত সভ্য দুনিয়ায়
তা যে ঠুনকো,
তা যে কোন দেশ ও জাতিকে স্থায়ী কোন শান্তির পথ নির্দেশ করতে পারে না,
তা হত্যা,
বেলেল্লাপনা,
সন্তানদের উপস্থিতিতে বাবা মায়ের বিবাহ,
হর হামেশা বিয়ে ও বিচ্ছেদ,
সন্তানকে শাসন করলেই পুলিশ ডাকা,
অস্ত্র ও নেশা দ্রব্যের অবাধ সরবরাহ,
হোমোসেক্সুয়াল,
লেসবিয়ান সহ হাজারো
আপাতঃ চক্ষু শীতলকারী বল্গাহারা উদ্যামতা একটা জাতিকে কোথায় নিয়ে যেতে পারে তার, উৎকৃষ্ট বা প্রকৃষ্ট যাই বলেন, উদাহরণ এই তথাকথিত উন্নত দুনিয়া।
আমরা এদেরকে অনুকরণ করতে অস্থির কিন্তু পরিণাম নিয়ে ভাবি না!
এরা চকলেটের থেকে শুরু করে অস্ত্র সবই বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে উৎপাদন করে।
সারা দুনিয়া এদের মুক্ত বাজার!
বিষ্ণুর অষ্টম অবতার ভগবান শ্রী কৃষ্ণ যখন বাসুদেব ও দেবকীর অষ্টম সন্তান হিসেবে জন্ম গ্রহণ করেন এবং লালিত পালিত হন তাঁকে কেন্দ্র করে বাংলায় একটা প্রবাদ প্রচলিত হয়ঃ
“তোমারে বধিবে যে,
গোঁকুলে বাড়িছে সে।”
কংস রাজাকে বধ করার ইঙ্গিতে এই কথা বলা হয়েছিলো।
প্রতিটা পদক্ষেপে, প্রতিটা উচ্চারিত শব্দে, প্রতিটা ঘটনার মধ্যে যে পরিণামের বীজ ঘাপটি মেরে আছে অণু-পরমাণুর গঠনের মতো তা নিয়ে আমরা কখনো ভাবার সময় পাই না।
যখন ভাবার অবকাশ হবে তখন ট্রেন ছেড়ে যাবে অনেকদুর ধোঁয়া উড়াতে উড়াতে!